ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৯:৩২ অপরাহ্ন

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধির তাগিদ

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা-এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রোববার ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চা-এর উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, একইসঙ্গে চা-বাগানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য চা-বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা-বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার ‘উন্নয়নের পথনকশা’ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী চা-বোর্ডের ‘উন্নয়নের পথনকশা’ বাস্তবায়নে চা- বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাংলার চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা-শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা-শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা-বোর্ড এবং চা-বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দিন দিন চা’র অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সে কারণে প্রত্যাশিত রপ্তানি বাড়ছে না। চা’র উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।’

এ সময় টি অ্যাসোসিয়েশন চা’র উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। চা বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সবধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন