আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রেকর্ড দরপতন ঠেকাতে জ্বালানি পণ্যটির রপ্তানিকারকদের জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) বৈশ্বিক উত্তোলন কমানোর চুক্তি এগিয়ে নিচ্ছে। উত্তোলন ও সরবরাহ কমিয়ে জ্বালানি পণ্যটির বাজার ভারসাম্য ফেরানোর স্বার্থে রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ জোটের সদস্য না হয়েও এ চুক্তির শর্ত মেনে চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এ মিত্রতা ওপেক পস্নাস নামে পরিচিতি পেয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ওপেক পস্নাস জোটের চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৫ শতাংশ। ওপেক সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
চলতি বছরের জুনে ওপেক পস্নাসের দেশগুলো প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছিল, যা ১৯৯১ সালের পর জ্বালানি পণ্যটির সর্বনিম্ন মাসভিত্তিক উত্তোলন। জুলাইয়ে সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাকসহ ওপেক পস্নাসভুক্ত দেশগুলো অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় উত্তোলন আগের মাসের তুলনায় ৯ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল বাড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক উত্তোলন হ্রাসের চুক্তির শর্ত ৯৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি আরবসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো জুলাইয়ে তাদের বেঁধে দেয়া কোটার তুলনায় বাড়তি জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। এর জের ধরে গত মাসে জ্বালানি পণ্যটির সম্মিলিত উত্তোলন বেড়েছে।
সীমিত হয়ে এসেছে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের হার।
এমন এক সময় এ তথ্য প্রকাশিত হলো যখন চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ওপেক পস্নাস জোটের প্রতিনিধিরা। আজ অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওপেক পস্নাসের মন্ত্রিপর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জয়েন্ট মিনিস্টারিয়াল মনিটরিং কমিটি (জেএমএমসি) নামের এ বৈঠকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সর্বশেষ বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এখন পর্যন্ত জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন হ্রাস চুক্তির অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়েও কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মন্ত্রীরা।