ঈদের পর রেমিট্যান্সের গতি কমতে শুরু করেছে। আগস্ট মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৮৬ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রবাসীদের আয় বৈধ পথে দেশে এসেছে। চলতি মাসে যে হারে রেমিট্যান্স আসছে তার গতি না বাড়লে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতি অচল হয়ে পড়ে। মার্চ-এপ্রিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন অনেক প্রবাসী শ্রমিক। পরে মে মাস থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে। আস্তে আস্তে বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অচলাবস্থা কাটিয়ে অনেক দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যবসাবাণিজ্য। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়তে থাকে।

এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের স্বজনদের জন্য বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে থাকেন প্রবাসীরা। ঠিক ওই সময় করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সব কিছু বন্ধ থাকায় অবৈধ হুন্ডিও প্রায় বন্ধ ছিল। পাশাপাশি বৈধ পথে অর্থ পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা মিলছে। এসব কারণে চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ে বৈধপথে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে করোনার কারণে হজের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন। আবার কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন ফিরে আসার। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও অবস্থা খুব ভালো নয়। এসব কারণে আগামীতে রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখা কঠিন হবে। এজন্য বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ সহজ করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো জরুরি বলছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৮৬ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।
