বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিংকে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে ব্যাংকের নিজস্ব ডেটাবেইজের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমন ডেটাবেইজ প্রয়োজন। একই সঙ্গে অর্থ পাচার রোধে বৈদেশিক বাণিজ্যে দক্ষ জনবল নিশ্চিত করাসহ ব্যাংকগুলোয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের গাইডলাইনস বাস্তবায়নে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ভার্চুয়াল সভায় গতকাল এসব কথা বলেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. আলী হোসেন প্রধানীয়া, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিংকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাইডলাইনসের সফল বাস্তবায়ন ব্যাংকগুলোর দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। তাই এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন তিনি।
বিএফআইইউ প্রধান রাজী হাসান বলেন, বিএফআইইউ, দুদক ও সিআইডির উদ্যোগে প্রণীত ‘বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ প্রতিবেদনে’ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ও বিদেশে অর্থ পাচারকে ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরই প্রেক্ষাপটে বিএফআইইউ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ গঠন করে গাইডলাইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চীন কিংবা ভারতের মতো দেশগুলো থেকে অর্থ পাচার বেশি হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ‘বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের গাইডলাইনস’ জারি করেছে। কেবল বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধকল্পে পৃথক কোনো গাইডলাইনস জারির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^ পঞ্চম এবং এশিয়ায় তৃতীয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ক্যাপিটাল মেশিনারির প্রকৃত দাম নির্ণয় করা জটিল বলে জানান। এ জন্য তারা কেন্দ্রীয় সেল থেকে প্রাইস মনিটরিংয়ের প্রস্তাব করেন। এমডিরা ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং প্রতিরোধে ব্যাংকের নিজস্ব ডেটাবেইজের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমন ডেটাবেইজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। দেশ রূপান্তর