ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৫:৩৮ অপরাহ্ন

বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব চাইবে বিজেএমসি

বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল চালুর বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কী পদ্ধতিতে চালু করলে বেসরকারি বিনিয়োগে কারা আগ্রহ দেখাবে, সেটা এখনো অজানা। এ জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব চাইবে সরকার। ঈদের পরের সপ্তাহে পাট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ও বেসরকারি স্টকহোল্ডারদের মধ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজেএমএসির চেয়ারম্যান আবদুর রউফ গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। তারা বন্ধ হওয়া পাটকল লিজ (ইজারা) নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া সভায় আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবই প্রাথমিক আলোচনা। তিনি বলেন, আমরা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব বানাব। কিন্তু কী ধরনের প্যাকেজ প্রস্তাব দিলে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবেন, সেটা আগে জানতে হবে। এ জন্য তাদের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্ধ হওয়া পাটকল দ্রুত চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা এ কাজে কোনো দেরি করতে আগ্রহী না। ঈদের পরের সপ্তাহে স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫টি পাটকলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, অবিক্রীত পাটপণ্য ও মজুদ কাঁচামালের মূল্য নির্ধারণের কাজ করছে একটি টাস্কফোর্স। বিলুপ্ত ঘোষণার পর এসব সম্পত্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মিল কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ নিরাপত্তা দলের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। গতকাল এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের কিংবা ইজারা ভিত্তিতে বন্ধ কারখানা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সরকারি পাটকল পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিজেএমসি গঠিত হয়। আর্থিক লোকসানে থাকলেও প্রতি বছর পরিচালন ব্যয় বাড়ছে বিজেএমসির। বিজেএমসির পাটকলে ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসান হয়েছে। সর্বশেষ হিসাবে মোট লোকসানের পরিমাণ এখন ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। এদিকে, আয় ও উৎপাদন কমলেও নতুন নতুন নিয়োগও বন্ধ হয়নি। প্রতি বছরই বাড়ছে জনবল। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রকাশনায় বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বশেষ সংখ্যা ৪০৫ জনের কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৩৬১। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩৩২ জন।

দেশ রূপান্তর

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন