মাঠে গিয়ে সীমিত পরিসরে মিলেছে অনুশীলনের অনুমতি-সুসংবাদটি আগের দিনই পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, পেয়েছিলেন সংবাদকর্মীরাও। ঘরে বসে বসে হাঁপিয়ে ওঠা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সঙ্গে এতদিন খাঁ খাঁ মাঠে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা ক্রীড়া সাংবাদিকরাও যেন ফেলেছেন স্বস্তির নি:শ্বাস। তাইতো সকাল থেকেই মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের আগ থেকেই হাজির সংবাদকর্মীরা। গতকাল একে একে যখন হোম অব ক্রিকেটে পা ফেলছিলেন ক্রিকেটাররা তাতে যেন প্রাণ ফিরে পেল দেশের ক্রীড়াঙ্গনও।
অনুশীলন কিংবা ম্যাচ- সবার আগে হাজির থাকতেন মুশফিকুর রহিমই। এদিনও তাই। পূর্বনির্ধারিত সূচি ভেঙে শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে আগেই চলে এসেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এত সকালে মুশফিককে দেখে খুব একটা অবাক হননি প্রায় চার মাস পর মাঠে ফেরা সাংবাদিকেরা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চার মাস খেলার বাইরে থাকায় মুশফিকের অনুশীলন-ক্ষুধা যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রথমবারের মতো মিরপুরে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে আগেই মাঠে চলে এলেন। বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারের উপস্থিতিতে রানিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

বিসিবি সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় ইনডোরে ব্যাটিং শেষে রানিং করার কথা মুশফিকের। সূচি পাল্টে সাড়ে আটটায় রানিং করতে নেমে যান মুশফিক। ৩০ মিনিট রানিং শেষে ১ ঘণ্টার বিশ্রাম শেষে ১০টায় যান ব্যাটিং করতে। এক ঘন্টা বোলিং মেশিনে ব্যাটিং অনুশীলন করে মাঠ ত্যাগ করেন মুশফিক।
মুশফিক যখন রানিং করছিলেন ঠিক তখনই ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। সকাল ৯টা থেকে এক ঘন্টা ব্যাটিং শেষে মিঠুনকে একাডেমী মাঠে রানিং করতে দেখা যায়। ১১টার পর ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে আসেন পেসার শফিউল ইসলাম। ৩০ মিনিট রানিং করে হাঁপাতে হাঁপাতে একাডেমী মাঠের এক প্রান্তে বিশ্রাম নিতে বসেন এই পেসার।
শফিউলের মতো কাহিল না হলেও মুশফিক, মিঠুনরাও রানিং শেষে দম ফালাতে পারছিলেন না। মুশফিক ৩০ মিনিট রানিং শেষে তো প্রায় ১৫ মিনিট একাডেমির ঘাসেই শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ৪ মাস প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলার বাইরে থাকার স্পষ্ট প্রভাব দেখা গেল জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটারদের ফিটনেসে। অনুশীলন শেষে মিঠুন যেমন বলছিলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পর মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি। ব্যাটিং, রানিং-সব কিছুই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এতদিন আমরা সব কিছুই ঘরের ভেতর করেছি। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি দিনে দিনে সব আগের মতোই ফিরে পাব।’
