পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)আইন অনুসারে, পরিচালক পদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালকের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ ২ শতাংশের কম। অথচ কোনো উদ্যোক্তার কাছে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে তিনি পরিচালক পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন। ২০১১ সালে এই নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। কিন্তু এত বছরেও খেলাপি পরিচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিএসইসি।
তবে অবশেষে গত সপ্তাহে এসব পরিচালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ন্যুনতম শেয়ার ধারণের জন্য তাদেরকে ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আলোচিত পরিচালকদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তাতে বলা হয়েছে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পূরণ করতে না পারলে পরিচালক পদ থেকে অপসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে হয় পরিচালকদেরকে শেয়ার কিনে বা অন্য কোনোভাবে ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে অন্যথায় তাদেরকে নিজ নিজ পদ ছাড়তে হবে।
এদিকে বিএসইসির ওই নির্দেশনার পর রোববার (৫ জুলাই) পুঁজিবাজারে বীমা খাতে হঠাৎ শেয়ারের চাহিদা দেখা দেয়। পরিচালকরা শেয়ার কেনা শুরু করলে শেয়ারের চাহিদা ও দাম বাড়তে পারে এমন আশায় অনেক বিনিয়োগকারী এদিন বীমা কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহী হন।
