বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিন মাস আগে ইতালিতে আরোপিত লকডাউন ধীরে ধীরে সহজ করার পরবর্তী পর্যায়ে তৈরি করার পথে এ আলোচনা শুরু হলো।
মিলানের সান রাফায়েল হাসপাতালের প্রধানআলবার্তো জাঙ্গরিলো বলেন, ‘বাস্তবে চিকিৎসা সূত্রমতে ভাইরাসটি এখন আর ইতালিতে নেই।’ রোববার আরএআই টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাঙ্গরিলো বলেন, দু–এক মাস আগেও ইতালিতে তাণ্ডব চালিয়েছে এই ভাইরাস। গত ১০ দিনের হিসাবে এই ভাইরাসের তাণ্ডব চালানো বা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
রাশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ পর্যবেক্ষণ করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম।জাঙ্গরিলো বলেন, ‘দেশে ভীতি ছড়ানোর জন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক মার্টিন হাইবার্ড বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে যেখানে মারাত্মক সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে কম গুরুতর লক্ষণযুক্ত লোকদের পর্যবেক্ষণ শুরু করার সময় হতে পারে। ধারণা করা যেতে পারে, ভাইরাসটির পরিবর্তন হচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন ভাইরাসটির ক্ষমতা হুট করেই কমে যায়নি।সংস্থাটির জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, ‘আমাদের সাবধান হওয়া দরকার । এটি এখনও একটি খুনে ভাইরাস।’
ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলের প্রধান ফ্রাঙ্কো লোকেতেলাই বলেন, জাঙ্গরিলোর মন্তব্যে তিনি বিস্মিত। প্রতিদিনের করোনা পজিটিভ সংখ্যাটা দেখলেই প্রকৃত বিষয়টি বোঝা যাবে।
সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে এটি মহামারির সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়গুলোর মধ্যে রয়েছে, যা দেশে ৩৩ হাজারের বেশি জীবন কেড়ে নিয়েছে। এ ভাইরাসটি ছড়ানো রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ম ও বাইরে গেলে মাস্ক পরতে আহ্বান জানানো হয়েছে।