বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের ভুল বা ব্যর্থতা ধরিয়ে দেয়া চক্রান্তের অংশ নয়, বরং তা গণতন্ত্রের অংশ।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
করোনা ভাইরাস ইস্যু’ নিয়ে জনগণের সঙ্গে লুকোচুরি করা মানে হচ্ছে, মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলা। দেশে বিরাজ করছে ভয়াল পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতা ও হেয়ালীপনার কারণে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে করোনার কোন চিকিৎসা হচ্ছে না, চারিদিকে মানুষের কেবলই আর্তনাদ।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা এখন পর্যন্ত কেউ অনুধাবন করতে পারছে না। জনগণ জানতে পারছে না আসলে হচ্ছেটা কি ? সরকার তাদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমনের নীতিকেই কার্যকর করছে। করোনা প্রতিরোধে মেডিক্যাল সরঞ্জামের বিষয়ে কেউ যেন কথা বলতে না পারে সেজন্য সরকার কঠোর পরিপত্র জারি করেছে।
শেষ ২৪ মিনিটে হের্টা বার্লিনকে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ≣ [১] করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রিন্স চালর্সকে সমবেদনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ≣ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত ও মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান
তিনি বলেন, প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। এখন পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসায় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়নি। আইসিইউতে ভেন্টিলেটর মেশিন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সুবিধাসহ পৃথক হাসপাতাল স্থাপন করতে পারেনি। হাসপাতাল প্রস্তুতির পরিকল্পনায় যথেষ্ট ঘাটতি আছে। বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিবর্তে নির্বাচন করা হয়েছে আউটডোর ক্লিনিক। সেখানে অক্সিজেনের সুবিধা ও অপারেশন থিয়েটার নেই। চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় বাড়ছে রোগীদের দুর্ভোগ ও মৃত্যুহার।
দুনিয়াজুড়ে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার কারণে যে ভয়ঙ্কর খাদ্য সংকটের প্রকৃত তথ্য জেনে তা প্রতিকারের জন্য মুক্ত আলোচনার কোন বিকল্প নেই। অথচ সরকার নিয়ন্ত্রণ আর হুমকির মুখে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে স্বেচ্ছাচারিতা অব্যাহত রেখেছে।
