করোনা মোকাবিলায় সহায়তা দিলেন লিওনেল মেসি

7

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বিত্তবান ব্যক্তি, চলচ্চিত্র শিল্পী,খেলোয়াড়, সেলিব্রিটি এগিয়ে এসেছেন। এবার এ তালিকায় নাম লেখালেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। স্পেনের বার্সিলোনায় হসপিটাল ক্লিনিক নামের একটি হাসপাতালে তিনি ১০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা) দান করেছেন। হাসপাতালটিতে ওই শহরের সাধারণ মানুষজনই বেশি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।

হাসপাতালটিতে তার দেওয়া অর্থ চিকিৎসকদের কল্যাণ এবং করোনাভাইরাসের টিকা আবিস্কারে ব্যয় করা হবে বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অফিশিয়াল টুইটার পেজে মেসির সহায়তার খবরটি নিশ্চিত করেছে। সাহায্যের অঙ্কটা জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’। ‘হসপিটাল ক্লিনিক’ টুইটার পেজে লেখা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিপক্ষে লড়তে ক্লিনিকে সহায়তা করেছেন মেসি। সহায়তা এবং কথা রাখার জন্য তোমায় ধন্যবাদ লিও।’ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার একটি মেডিকেল সেন্টারেও দান করেছেন বার্সা ফরোয়ার্ড।

হাসপাতালের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবার সাহায্যই আমাদের কাজে লাগবে। হাসপাতালের সব কর্মীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।’ স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হা্জার। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে এর আগে নাপোলিতে গিয়েছিল বার্সা। মেসির ক্লাব সতীর্থ ইভান রাকিতিচ তখনই টের পেয়েছিলেন পরিস্থিতি বিশেষ ভালো না। বার্সা টিভিকে তিনি বলেন, ‘অবাক হইনি আমি।নেপলসে লোকে এ (করোনা) নিয়ে বলাবলি করছিল। আমি দলীয় চিকিৎসককে বলেছিলাম পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এখন ঘরে বসে থাকাই নিরাপদ। বাইরে হাঁটতে ভালো লাগে। কিন্তু এখন ঘরে থাকা প্রয়োজন।’

মেসির এই সহায়তা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে আরও অনেককে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতালটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে রাস্তায় নেমে বাইরে কাজ করতে হবে এমন নয়, ঘরে থেকেও এভাবে (মেসির মতো ডোনেশন করে) এই লড়াইয়ে ভূমিকা রাখার অনেক সুযোগ আছে। এটি অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে, কিন্তু এটি বেশ গরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।