শীত পেরিয়ে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। এই সময়ে প্রকৃতি ধারণ করেছে নবরূপ। প্রকৃতির এ ভিন্নরূপ মানুষের হৃদয়ে এনে দেয় এক পশলা স্বস্তি। তবে, আর কিছুদিন বাদেই বিদায় নেবে ঋতুরাজ, রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আসবে গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মকাল মানুষের মাঝে প্রাকৃতিক কারণেই এক ধরণের অস্বস্তরি জন্ম দেয়। কারণ, গ্রীষ্মকালের সূর্যের প্রখর তাপে তেঁতিয়ে উঠবে পরিবেশ। যার প্রভাব পড়বে মানুষরে দৈনন্দিন জীবনের ওপর। তবে, এ সময় অস্বস্তি দূর করে মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দিতে এয়ার কন্ডশিনাররে জুড়ি মেলা ভার।
গ্রীষ্মকাল আসার আগ মুহূর্তে দেশের মানুষ গরমের তোপ আঁচ করতে পারছেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে গরমের তীব্রতা আরো বেড়ে যাবে। গরমের তোপ থেকে মানুষকে স্বস্তি দিতে এয়ারকন্ডিশনার হতে পারে এক কার্যকর সমাধান। তাই, গ্রীষ্মের আগমনের আগেই বাসায় থাকা এয়ার কন্ডিশনারগুলো সার্ভিসিং করা জরুরি। কিন্তু, অনেকের মাঝে এয়ারকন্ডিশনারের সার্ভিসিং নিয়ে বেশ কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন এ পণ্যটির সার্ভিসিং অনেক ঝামেলার।
নিয়মমাফিক কিছু বিষয় মেনে চললে খুব সহজেই বাসায় বসেই এ প্রয়োজনীয় উপকরণটির যত্ন নেওয়া যা। যেমন: দীর্ঘদিন এয়ারকন্ডিশনাগুলো চালু না থাকার কারণে এর এয়ার ফিল্টার ধুলোয় ভরে যায়। এ ধুলো জমার কারণেই বাতাস চলাচল বাধা পায়, ফলে এয়ারকন্ডিশনার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। খুব বেশি ধুলো জমলে ফিল্টারটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করলেই হয়। খুব বেশি ময়লা জমে গেলে একটু ডিটারজেন্ট পাউডার বা লিক্যুইড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। এছাড়াও, খুব সহজেই বাসায় এয়ারকন্ডিশনারের ফ্যান পরিষ্কার করা যায়। শুকনো কাপড়, ব্রাশ কিংবা এয়ার ব্লোয়ার থাকলে তা দিয়ে এয়ারকন্ডিশনারের ফ্যানের ব্লেটে আটকে থাকা ময়লা সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এসির সর্বোত্তম পারফর্মেন্সের জন্য প্রতি দুই সপ্তাহে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করলেই হয়।